আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় এক অদ্ভুত ‘অপরাধী’র খোঁজ মিলেছে। একটি র্যাকুন মদের দোকানে ঢুকে মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় ধরা পড়েছিল। এখন জানা যাচ্ছে, এই প্রাণীটি কেবল মদের দোকানেই নয়, বরং তার আগে একটি কারাতে স্টুডিও এবং সরকারি অফিসেও হানা দিয়েছিল।
হ্যানোভার কাউন্টির অ্যানিমেল কন্ট্রোল অফিসার সামান্থা মার্টিন জানান, থ্যাঙ্কসগিভিং-এর দুই দিন পর অ্যাশল্যান্ড লিকার স্টোরে ওই র্যাকুনটিকে মাতাল অবস্থায় বাথরুমে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মদের বোতল খালি করে সেখানেই বেহুঁশ হয়ে পড়েছিল সে। এই ঘটনার পর তাকে ‘ট্র্যাশড পান্ডা’ বা ‘মাতাল পান্ডা’ নাম দেওয়া হয়।
কর্মকর্তাদের সন্দেহ, এই একই র্যাকুন এর আগে পাশের একটি কারাতে স্টুডিওতে ঢুকেছিল এবং ডিএমভি অফিসে ঢুকে স্ন্যাকস চুরি করে খেয়েছিল। অফিসার সামান্থা বলেন, সম্ভবত এটি তার তৃতীয় ডাকাতি। সে কারাতে স্টুডিওতেও গিয়েছিল, আবার ডিএমভি-তে ঢুকে খাবারও চুরি করেছে।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এই ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর হ্যানোভার কাউন্টি কর্তৃপক্ষ ‘ট্র্যাশড পান্ডা’ লোগো দেওয়া টি-শার্ট বিক্রি শুরু করে।
অবিশ্বাস্যভাবে, শুক্রবার পর্যন্ত এই টি-শার্ট বিক্রি করে ২ লাখ ৭ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা) তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে। এই অর্থ স্থানীয় প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রের সংস্কার ও ধারণক্ষমতা বাড়ানোর কাজে লাগানো হবে।
নেশা কাটার পর ওই ‘মাতাল’ র্যাকুনটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অফিসার সামান্থা মজার ছলে বলেন, সবাই জীবনে একবার না একবার অতিরিক্ত মদ্যপান করে বাথরুমে পড়ে থাকার অভিজ্ঞতার সঙ্গে এই ঘটনাকে মেলাতে পারছে, তাই এটি এত ভাইরাল হয়েছে। তবে ও বোকা নয়, সুযোগ পেলে আবারও ফিরে আসতে পারে।
তথ্যসূত্র বিবিসি
ডিবিসি/এমইউএ