সরকার ও রাজনীতিবিদের মধ্যে ঐক্য না হলে দেখা দেবে বিপর্যয়, মাথাচাড়া দিতে পারে পতিত স্বৈরাচার। এমন আশঙ্কা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে জাতীয়তাবাদী আদর্শ হতে পারে বড় নিয়ামক। এরইমধ্যে আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে জামায়াত-এনসিপির সন্তোষ আর বিএনপির অসন্তোষ সেই ঐক্য প্রক্রিয়ায় ফাটলের শঙ্কাই দেখছেন তারা।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন প্রশ্নে অন্তবর্তী সরকারের দূরত্ব ঘোচাতে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তথা অন্তর্বর্তী সরকার।
বিএনপি যখন ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে তারমধ্যেই ঈদ শুভেচ্ছা ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ভোট হবে আগামী বছরের এপ্রিলে।
প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের অনড় অবস্থান জানান দিয়ে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। অবশ্য এপ্রিলের নির্বাচনি রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত ও এনসিপি।
এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তবর্তী সরকারের দূরত্বের স্পষ্টতা দৃশ্যমান হচ্ছে।
আর বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু।
এমন বাস্তবতায় আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য খুবই প্রয়োজন বলে মত দেন রাজনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা। ঐকমত্য কমিশনের ২য় দফা রাজনৈতিক সংলাপ শেষে দল ও সরকারের মাঝে ঐক্য ফিরে আসবে, এমনটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।
ডিবিসি/এনএসএফ