কক্সবাজার সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে সাগরে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের তিনদিনেও সন্ধান মেলেনি। গত মঙ্গলবার (৮ই জুলাই) সকাল ৭টায় অরিত্র হাসানসহ তার আরও দুই সহপাঠী সাগরে ভেসে যান।
ভেসে যাওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে কেএম সাদমান রহমান সাবাব (২১) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ একই সৈকতে ভেসে আসে। সাবাব ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কেএম আনিছুর রহমানের ছেলে। পরদিন বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলের ২৫ কিলোমিটার উত্তরে শহরের নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল সৈকতে আসিফ আহমেদ (২২) নামে আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ পাওয়া যায়। আসিফ বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে।
নিখোঁজ অরিত্র হাসান বগুড়া সদরের নিধনিয়া দক্ষিণ পাড়ার মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে। মৃত উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ এই তিনজনই চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন, নিখোঁজ অরিত্র হাসানের সন্ধানে সাগর ও উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। ফায়ার সার্ভিস, লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীদের সমন্বয়ে ঘটনার পর থেকেই উদ্ধার তৎপরতা চলছে। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় এ বিষয়ে খবর দেওয়া হয়েছে।
সী সেইফ লাইফগার্ড সংস্থার সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান গনি জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর খোঁজে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের মহেশখালী থেকে টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, হিমছড়ি সৈকতে একাধিক গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেখানে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ এবং উদ্ধার তৎপরতাও নেই। তিনি মনে করছেন, নিহত শিক্ষার্থীরাও এই গুপ্তখালে আটকা পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।
ডিবিসি/এএনটি