সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে লুটপাটের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরিতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এই লুটপাটের নেপথ্যে থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসবে এবং সে অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। একইসঙ্গে নতুন করে লুটপাট বন্ধ করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি) তৎপরতা বাড়িয়েছে।
সাদাপাথর লুটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে যৌথ বাহিনীর একের পর এক অভিযানে পাথরের বেশ কিছু চালান উদ্ধার করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এই চক্রের হোতা কারা এবং এতে প্রশাসনের অবহেলা কতটুকু, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য।
তদন্তের অংশ হিসেবে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের বিদায়ী জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ। তিনি জানান, লুটের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে। ৪৮ বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, সীমান্ত এলাকায় এমন অপকর্ম রোধে বিজিবি বাড়তি তৎপরতা শুরু করেছে।
এদিকে, শুরুতে কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও বর্তমানে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। পর্যটকদের দাবি, এই পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা হোক। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর প্রশাসনিক তৎপরতার মধ্যেই সিলেটের জেলা প্রশাসক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ডিবিসি/আরএসএল