বাংলাদেশ, জাতীয়

সাধারণ ছুটি ৫ই মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

মো. হামিদুর রহমান

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৩শে এপ্রিল ২০২০ ০৮:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ছুটির সঙ্গে নতুন কিছু নির্দেশনাও জারি করেছে সরকার।

জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অফিস খুলে দেয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয়নি।

ছুটিকালে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও গণপরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।

এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সাধারণ ছুটি বাড়ানো হল। ছুটির সঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে নানা নির্দেশনা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এর আগে, ছুটির মেয়াদ ১ মে পর্যন্ত করার সুপারিশ করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটি।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) জাতীয় কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি জানান, সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের মিটিংয়ের সামারি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছি। সেখানে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আগামী ১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। সাধারণ ছুটি বাড়ানোর এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দ্বিতীয় দফায় তা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।

তবে সাধারণ ছুটির মধ্যেই সীমিত আকারে খোলা রয়েছে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি নিত্যপণ্য, ওষুধসহ জরুরি সেবাগুলো খোলা রয়েছে।

তৃতীয় দফা ছুটি ঘোষণার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা বলে হয়েছে।

আরও পড়ুন