সাফ অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবলের ফাইনালে বাংলাদেশ। ভুবনেশ্বরে গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে লাল-সবুজ যুবারা। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন পিয়াশ আহমেদ নোভা। ম্যাচে মাঝ পথে হাতহাতিতে জড়ানোয় দু দলের ফুটবলারদের দেখতে হয় লাল কার্ড। শুক্রবার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে মারমুখী বাংলাদেশ-নেপালের ফুটবলাররা। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দু দলের ফুটবলার জড়ালের হাতাহাতিতে। সেখানে এসে যোগ দিলো সাইড বেঞ্চের ফুটবলাররাও। অনূর্ধ্ব ২০ সাফ ফুটবলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ফাইনালে যাওয়ার কঠিন সমীকরণে নেমেছিলো বাংলাদেশ নেপাল। স্নায়ুর লড়াই ছাড়ায় নিয়ন্ত্রণ।
ফলশ্রুতিতে লালকার্ড দেখতে মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশের শহীদুল ইসলাম আর নেপালের দুই ফুটবলারকে।
ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নেপালের কাছে হারলেও ফাইনালে পা রাখার সুযোগ ছিলো বাংলাদেশের। আগের সব কটি ম্যাচে জয় তুলে নেয়া লাল সবুজের যুবারা এই ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলো অতি রক্ষণশীল। প্রথমার্ধের পুরোটা ছিলো নেপালের নিয়ন্ত্রণে।
আগের ম্যাচে ভারতের কাছে ৮-০ গোলে হেরে যাওয়া নেপাল বাংলাদেশের সীমানায় চালায় একের পর এক আক্রমণ। ৭ মিনিটে আশিষ রায়ের দুর পাল্লার শট বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের পোস্ট ঘেঁষে।
১৬ মিনিটে নেপালের দু’দুটি আক্রমণ ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষ আসিফ।
বিরতির আগে দীপেশের ফ্রি কিক ফিরিয়ে আরেকবার নিশ্চিত গোলহজমের হাত থেকে দলকে বাঁচান আসিফ।
প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে খোলে আক্রমণের খাতা।
৬৩ মিনিটে নাহিয়ানের মাইনাস থেকে পিয়াস আহমেদ নোভার গোলে উৎসবে ভাসে বাংলাদেশ।
তবে নেপাল ছেড়ে কথা বলেনি। মিনিট পাঁচেক পরই নিরঞ্জন মাল্লার গোলে সমতায় ফেরে তারা।
শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই শেষ হলো ম্যাচ। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এক মাত্র অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
মোহাম্মদ আসিফ, তানভির হোসেন, আজিজুল হক অনন্ত, ইমরান খান, রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, পিয়াস আহমেদ নোভা, মইনুল ইসলাম মইন, মোহাম্মদ নাহিয়ান, আক্কাস আলি, রাজন হাওলাদার
নেপাল একাদশ
ইসওয়ার গুরুং, আয়ুস গালান, অজয় চৌধুরী, অমর স্রেষ্ঠ, কৃতিশ রত্ন চুন্নু, দিপেশ গুরুং, অশিষ রাজ, অবিশেক ওয়াইবা, সুগাম সুয়াল, সন্দিপ কারকি।