গাজার তিন দিকে দেয়াল, আর একদিকে দিগন্তজোড়া সমুদ্র। যে সমুদ্রের মাছ একসময় অবরুদ্ধ গাজাবাসীর পুষ্টির অন্যতম উৎস ছিল, আজ সেই সমুদ্রই তাদের জন্য মৃত্যুফাঁদ। ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে নামা নিষিদ্ধ হওয়ায় অনাহারের দ্বারপ্রান্তে থাকা মানুষগুলো খাদ্যের আরেকটি উৎস হারিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই মাসের শুরুতে এক নিরাপত্তা আদেশে গাজাবাসীকে উপকূলে সাঁতার কাটার ওপরও নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইসরায়েলি নৌযান ও বিমানের হামলার আশঙ্কার মধ্যেই কেবল তীব্র ক্ষুধায় মরিয়া কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগরে নামছেন সামান্য মাছের আশায়।
সিএনএন-কে জিয়াদ আবু আমিরার মতো জেলেরা বলেন, "এই একটি ছাড়া আমাদের কাছে খাবারের আর কোনো উৎস নেই। আজ যদি আমি আমার সন্তানদের জন্য খাবার না আনি, তবে আমিই মরে যাবো।" তিনি আরও বলেন, "আমি ত্রাণের ট্রাকের পেছনে দৌড়াবো না, এটাই আমার পথ।"
এই ঝুঁকির মধ্যেই টিকে থাকার লড়াই করছে ফায়জার মতো শিশুরা। সাত বছর বয়সী ফায়জা জেলেদের ফেলে দেওয়া জাল থেকে মাছের উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করে। ছোট্ট গলায় সে সিএনএন-কে বলে, "আমি জেলেদের সাগর থেকে ফেরার অপেক্ষায় থাকি। প্রতিদিন এসে সামান্য কিছু মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাই।"
একদিকে যখন কঙ্কালসার ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি বিশ্বকে নাড়া দিচ্ছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনা বাড়ছে, তখন গাজার সাধারণ মানুষ কেবল পরের বেলার খাবার জোগাড়ের সংগ্রামে লিপ্ত।
তথ্যসূত্র সিএনএন।
ডিবিসি/এমইউএ