সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসায়ীরাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে খুন করে। ঘটনার রাতে অস্ত্র দেখে ফেলায় সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তারা। হত্যায় সরাসরি জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
গত (১৩ই মে) রাত আনুমানিক পৌনে ১২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা সাম্যকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মমভাবে খুন করে একদল দুর্বৃত্ত। ঘটনার রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আরো ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। ছাত্রদলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও বিচারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিলো।
মঙ্গলবার (২৭শে মে) সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটন নিয়ে লিখিত বক্তব্য দেন। যদিও তার বক্তব্যে কেন এ হত্যাকাণ্ড তার কিছুই ছিলো না। মোটিভ নিয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, উদ্যানে মাদকব্যবসায়ী চক্রের হাতে খুন হন সাম্য। মাদকসেবীরা ট্রেজারগান অস্ত্রটি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলো। সাম্য এটি দেখা ফেলায় তার সাথে ধস্তাধস্তি হয়।
তবে সাম্য হত্যা পরিকল্পিত, আসামিরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে জবানবন্দি দিয়েছে তার সাথে পুলিশের বক্তব্যের মিল নেই বলে জানান সাম্যের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম সাগর।
এদিকে সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত কমিটি। এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জানতে চাইলে কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি।
ডিবিসি/এনএসএফ