সিনিয়রকে সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মে) রাতে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের বিভিন্ন ব্লকে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দেয় ছাত্রলীগের একপক্ষ।
শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে আসে আরমান খান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেজবাহুল হকের অনুসারী৷ এ সময় সালাম না দিলে তাকে হুমকি দেন সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজ আনাম। মাহফুজ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আল মুক্তাদির তরঙ্গের অনুসারী।
পরে তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাহফুজকে মারধর করেন আরমান। ওই রাতেই মাহফুজের নের্তৃত্বে তরঙ্গের অনুসারীরা মেজবাহুলের এক কর্মীকে মাদার বখ্শ হলের সামনে মারধর করে। পরে তারা শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ভেতরে প্রবেশ করে।
খবর পেয়ে ওই হলের সামনে অবস্থান নেয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেজবাহুলের অনুসারীরা। কিছুক্ষণ অবস্থানের পর হলের ভেতরে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে বিভিন্ন ব্লকে মহড়া দেয় তারা। পরে ঘটনা সমাধানে রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে দুই পক্ষ উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বিষয়টি সমাধান করেন৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এটা তাদের অভ্যন্তরীন বিষয় তারাই এটা সমাধান করেছে।
ডিবিসি/কেএমএল