আন্তর্জাতিক, এশিয়া

সিডনিতে বন্দুক হামলা চালানো যুবক ভারতীয় নাগরিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

৮ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত বন্দুকধারী সাজিদ আকরাম ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। তবে ভারতে থাকা পরিবারের সঙ্গে তার খুব বেশি যোগাযোগ ছিল না এবং তার উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে পরিবার কিছুই জানত না। মঙ্গলবার ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

গত রোববার অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ইহুদি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ। বন্ডি সৈকতে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

 

নিহতদের মধ্যে একজন বন্দুকধারীও রয়েছেন। সিডনি পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে ও হামলার সহযোগী নাভিদ আকরাম গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

 

এ ঘটনায় ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্য পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, সাজিদের উগ্র মানসিকতা কিংবা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তার পরিবারের সদস্যদের কোনও ধারণা নেই। এমনকি ঠিক কী পরিস্থিতিতে তিনি এমন উগ্রবাদে জড়িয়েছেন, সে সম্পর্কেও তারা অন্ধকারে রয়েছেন। হায়দরাবাদ হলো এই তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী।

 

অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে বাবা ও ছেলে দুজনই ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছিলেন। বাবা ভারতীয় পাসপোর্টে এবং ছেলে অস্ট্রেলীয় পাসপোর্টে দেশটিতে ভ্রমণে যান। হামলাকারী বাবা ও ছেলের ওই সফরের উদ্দেশ্য জানতে তদন্ত চলছে। কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, কিংবা সেখানে তারা কোনও প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন কি না—তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

তেলেঙ্গানা পুলিশ আরও জানায়, দুই বন্দুকধারীর উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়ার পেছনের কারণগুলোর সঙ্গে ভারতের বা তেলেঙ্গানার স্থানীয় কোনও যোগসূত্র নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের পর সাজিদ আকরাম পারিবারিক প্রয়োজনে মোট ছয়বার ভারতে এসেছিলেন। দেশ ছাড়ার আগে তার বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় কোনো ‘নেতিবাচক নথি’ বা অভিযোগের রেকর্ড ছিল না।

 

সূত্র: রয়টার্স

 

ডিবিসি/পিআরএএন

আরও পড়ুন