সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ায় সিলেটে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরি।
অগ্রিম টাকা নিয়ে সিলেটের বালাগঞ্জে একটি মাহফিলে না আসার অভিযোগ উঠেছিল সময়ের আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরির বিরুদ্ধে। আয়োজক কমিটি এ বিষয়ে মাইকে ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
তবে সেই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তাহেরি সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করতে এসেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে তিনি সিলেট আদালতে এসে মামলার আবেদন করেন।
২২ শে মার্চ বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে এ মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয়রা। ওই ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরিকে। বিকেলের দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে তার ওয়াজ করার কথা ছিল। মাহফিলে আসা বাবদ তাকে অগ্রিম ৩৩ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়েছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু আজ সকাল থেকেই তাহেরির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলে কেউ রিসিভ করেননি। ওয়াজের নির্ধারিত সময় পর্যন্তও কেউ কল রিসিভ করেননি, এমনকি কল ব্যাকও করেননি।
এক পর্যায়ে টাকা নিয়ে তাহেরির না আসার বিষয়টি আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে মাহফিলের মাইকে জানিয়ে ওয়াজ শুনতে আসা মুসল্লিদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। এসময় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তাহেরির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং জুতা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এমন কয়েকটি ভিডি ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।এ সময় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাহেরিকে পুরো সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে তাহেরির মোবাইল নম্বরে কয়েকবার কল করা হলেও প্রত্যেকবারই সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, ওই ওয়াজ মাহফিলে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে তাহেরিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহেরির সমালোচনায় মেতে উঠেছেন নেটিজেনরা।
পরবর্তীতে বিষয়টি তাহেরীর নজরে আসলে তিনি এ অভিযোগের বিষয়টি সস্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেন। ওইদিনই তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন। তিনি আরো বলেন, যারা তার নামে এ প্রতারনা করেছেন তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং যে যুবক এই ঘটনার সাথে জড়িত সে স্বীকারোক্তি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে এবং তা সংরক্ষিত আছে।