সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলছে অত্যাধুনিক নতুন টার্মিনাল, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও কার্গো স্টেশন স্থাপনের মেগা প্রকল্পের কাজ।
২ হাজার ১১৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সাথে সিলেটের সরাসরি ফ্লাইট বাড়বে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের পণ্য রপ্তানিতেও সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও কাতার থেকে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল করছে। তবে, এ ধরনের টার্মিনালে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহণ পুরোপুরি অনুমোদিত নয়। তবে, ইংল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের পরামর্শ ও নির্দেশনা মেনে আপাতত চলাচল করছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো।
এতদিন এ বিমানবন্দর থেকে ছিল না সরাসরি পণ্য রপ্তানির সুযোগও। ২০২০ সালের শেষের দিকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের প্রথম পর্যায় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও কার্গো স্টেশন স্থাপন। যা বাস্তবায়ন হলে, আয়তন বাড়বে তিনগুণ। সংশ্লিষ্টরা জানান, এরই মধ্যে প্রকল্পের ১২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, দ্রুত এগিয়ে চলছে বাকি কাজও।
বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজের বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী জানান, বিমানবন্দরের নকশার দায়িত্ব পেয়েছে জাপানি প্রতিষ্ঠান। তারা ডিজাইন করে পর্যায়ক্রমে পাঠাচ্ছে। তবে, এসব কাজের পাশাপাশি প্রাথমিক কাজ চলবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সরাসরি পণ্য রপ্তানির জন্য কার্গো স্টেশন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আর দুটি কার্গো কেনার কাজও প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, আমাদের দেশের প্রচুর খাদ্য উৎপাদন হয়। কিন্তু, কার্গো বিমান না থাকায় আমরা বিদেশে রপ্তানি করতে পারিনা। দেশের বিমানবহরে শিগগিরই কার্গো ফ্লাইট যুক্ত হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রী ও পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে জানান ব্যবসায়ী নেতারা। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।