সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তবে এর আগেই সুন্দরবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে ১৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এই সব প্রতিষ্ঠান রেখে শুধু একটি প্রজ্ঞাপন জারি সুন্দরবনকে বাঁচাতে পারবে না। তদারকির পাশাপাশি গড়ে উঠা শিল্প কারখানার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার পরামর্শ তাদের।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন বা ইসিএ বলা হয়। তবে এই ১০ কিলোমিটার এলাকায় শিল্প স্থাপন নিষিদ্ধের আইন সংশোধন করে, শিল্পকারখানার অনুমোদন দেয় শেখ হাসিনা সরকার।
২০১৭ সালের ৬ই আগস্ট জাতীয় পরিবেশ কমিটির সভায় ইসিএ এলাকার সীমানা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই কমিটির সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই সভার পর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র দেয়ার পাশাপাশি, নতুন করে এলপিজি প্ল্যান্ট, সিমেন্ট কারখানার অনুমোদন দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
সুন্দরবনের ইসিএ এলাকার বেশিরভাগ শিল্পকারখানার মালিক ছিলেন তৎকালীন সরকারের প্রভাবশালীরা। এমন ১৯০টি কারখানা, যার মধ্যে ২৪টি লাল তালিকাভুক্ত। সেই তালিকা জমা দেয়া হয়েছিলো আদালতে। তবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। শুধু মোংলা এলাকাতেই গড়ে উঠেছে ১০০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
পরিবেশবদিরা বলছেন, যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে, কিন্তু কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি, সেগুলোর অনুমোদন বাতিল করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুন্দরবন হবে সুরক্ষিত, এমন প্রত্যাশা পরিবেশবিদদের।
ডিবিসি/এনএসএফ