নানা জল্পনা আর নাটকীয়তা শেষে কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি বিয়ে করলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী মিথিলাকে।
তবে মিথিলার আগে সৃজিতের ব্যর্থ প্রেম কাহিনীও রয়েছে। ৪২ বছর বয়সি সৃজিত আগেও একবার বিয়ে করেছিলেন।
সৃজিত মুখার্জি ২০১০ সালে ‘অটোগ্রাফ’ সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। শোবিজে ধীরে ধীরে চলতে চলতে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেন তিনি। এরপর টালিপাড়ায় ২০১৩ সালে সৃজিত প্রথম প্রেমে পড়েন স্বস্তিকার।
এরপর ২০১৫ সালে ‘রাজকাহিনী’ নির্মাণ করেন সৃজিত। সেই সময় বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসানের সঙ্গেও প্রেমে মজেন বলে গুঞ্জন ওঠে। দুই বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে তাদের প্রেমের গুঞ্জন। যদিও এমন গুঞ্জন নাকচ করে দেন জয়া। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। এছাড়া সঙ্গীতশিল্পী মধুবন্তী বাগচী, অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ও ঋতাভরী চক্রবর্তীর সঙ্গেও সৃজিতের প্রেম ছিল বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।
গত বছরের শুরুতে ফের গুঞ্জন ওঠে ভারতের সংগীতশিল্পী মধুবন্তী বাগচীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে সৃজিতের। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ এই প্রেমের খবর প্রকাশ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি অস্বীকার করে মধুবন্তী বাগচী বলেন, ‘প্রত্যেকেই একের পর এক ‘তথাকথিত সম্পর্ক’ নিয়ে কথা বলাটা পছন্দ করেন না।’
সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘এক যে ছিল রাজা’, সিনেমায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় শোনা যায়- এই পরিচালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সায়ন্তনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এই জুটির একটি স্থিরচিত্রকে কেন্দ্র করে আলোচনা জমে ওঠে। যদিও সর্বশেষ তা গুঞ্জন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে।
অন্যদিকে সৃজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মডেল-অভিনেত্রী র্যাচেল হোয়াইট। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সৃজিতের সঙ্গে তিনবার দেখা হয়েছিল। প্রত্যেকবারই সৃজিতের প্রথম প্রশ্ন ছিল ‘আর ইউ সিঙ্গেল?’ এছাড়া আরো বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন এই অভিনেত্রী। তবে র্যাচেলের অভিযোগ বরাবরের মতোই উড়িয়ে দিয়েছেন সৃজিত।