লাগেজ হারানো, মালামাল চুরিসহ যেকোন ধরনের হয়রানি বন্ধে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতি কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলছেন, দেশের বাইরে যাওয়া যাত্রীদের সেবা নির্বিঘ্ন করতে যেমন হেল্প ডেস্ক রয়েছে, তেমনি দেশে আসা যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে টেলিফোন সেবাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছেন তারা।
যাত্রীদের কিছু হারিয়ে গেলে বা অভিযোগ থাকলে তা বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায়ই জানানোর আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক।
পরিবারের মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে প্রতিদিনই বিদেশে পারি জমান নানা শ্রেণির পেশার মানুষ। কিন্তু বিমানবন্দরে আসা যাওয়ার পথে নানান ভোগান্তির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। বহিগর্মন গেইট দিয়ে ঢুকলেই যাত্রীরা পাচ্ছেন চলমান সাহায্যকারী অথবা হেল্প ডেস্ক। যাত্রীদের ব্যাগ বহন করতে ট্রলির ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত।
এতো গেল বিদেশ যাওয়ার সময়ে যাত্রীদের কথা। দেশে যারা আসছেন তাদের ভোগান্তি কমাতেও আছে নানা উদ্যোগ। আগে যেখানে লাগেজ বুঝে পেতে যাত্রীদের বাড়তি ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় লাগতো সেখানে এখন লাগছে ২০ থেকে ৩০ মিনিট।
যাত্রীরা বলছেন, ’আগে অনেক দেরি হত লাগেজ পেতে। কিন্তু এবার খুবই তাড়াতাড়ি পেয়ে গেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ব্যাগ পেয়ে গেছি।’
লিখিত নির্দেশনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর যারা দেশে ফিরছেন পরিবারের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য রাখা হয়েছে বিনামূল্যে ফোন করার সুযোগ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় প্রতিটি জায়গাই রয়েছে সিসিটিভি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এম কামরুল ইসলাম বলেন, ’লাগেজের হ্যান্ডেলিং যারা করছেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডিং এজেন্সি যারা রয়েছেন, তাদের আমরা সর্বত্র মনিটরিং করছি। পূর্বে আমাদের লাগেজ দেরিতে পাবার যে অভিযোগ ছিল, সেটা আমরা অনেক অংশেই কমিয়ে এনেছি। যদি সম্মেলিত যাত্রীরা লাগেজে কোনো ক্ষয়ক্ষতি খুঁজে পান, তাহলে আমরা অনুরোধ করব যে বিমানবন্দর ত্যাগ করার পূর্বেই আমাদের কাছে অভিযোগ দাখিল করার।’
কাস্টমস সেবার মান উন্নয়নে নেয়া হয়েছে নতুন কিছু উদ্যেগ। বিমানবন্দর কতৃপক্ষ বলেন, যে কোন অভিযোগ সবোর্চ্চ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করেন। অভিযোগ যথাযথভাবে জানানোরও আবেদন তাদের।