সাহিত্য, বিবিধ

সৈয়দ মুজতবা আলীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৫৬:০৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও রম্যরচয়িতা সৈয়দ মুজতবা আলীর আজ ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।

সৈয়দ মুজতবা আলী আজীবন ছিলেন সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে। তিনি নিজেকে বলতেন বিশ্ব নাগরিক, যার প্রমাণ মেলে তার লেখাতেও। তিনি চিরকালই ছিলেন জ্ঞানপিপাসু। সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি, উর্দু, ফার্সি, হিন্দি, গুজরাটি, ফরাসি, জার্মান ও ইতালীয়সহ মোট ১৫টি ভাষা জানা ছিল সৈয়দ মুজতবা আলীর।

 

সাহিত্য তো বটেই, ব্যক্তিজীবনেও প্রচণ্ড রসিক ছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী। বেশি বয়সে বিয়ে করার কারণে সবসময়ই আক্ষেপ করতেন। বলতেন, 'বেশি বয়সে যে পতিরা বিয়ে করে তারা ভীষণ বউপ্রেমী হয়। আমার অবস্থা হয়েছে তেমনই।'

 

জীবন সম্পর্কে সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন, 'জীবনই অভিজ্ঞতা আর অভিজ্ঞতাই জীবন। অভিজ্ঞতাসমষ্টির নাম জীবন, আর জীবনকে খণ্ড খণ্ড করে দেখলে এক-একটি অভিজ্ঞতা। এক- একটি অভিজ্ঞতা যেন এক এক ফোঁটা চোখের জলের রুদ্রাক্ষ। সব কটা গাঁথা হয়ে যে তসবি-মালা হয় তারই নাম জীবন।’

 

তার নামকরা উপন্যাস- শবনম, শহর-ইয়ার; ভ্রমণকাহিনী- দেশে বিদেশে, জলে ডাঙ্গায়; ছোটগল্প- টুনি মেম, চাচা কাহিনী; রম্যরচনা- পঞ্চতন্ত্র, ময়ূরকণ্ঠি; নাটক- লালসালু, বহিপীর ইত্যাদি। 

 

১৯০৪ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর আসামের করিমগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই সাহিত্যিক ভাষাতত্ত্ব ও ধর্মতত্ত্বে অসাধারণ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন রবীন্দ্র-সাহিত্যের একজন নিষ্ঠাবান অনুরাগী।

 

ডিবিসি/ এইচএপি

আরও পড়ুন