বিবিধ

স্কিন কেয়ারে নতুন অধ্যায়: মাইসেলার ওয়াটার এখন বাংলাদেশের

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৭ই আগস্ট ২০২৫ ০৯:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আমরা নিয়মিত এমন পরিস্থিতি ফেইস করেছি যেখানে দেরি হয়েছে, আমাদের অনেকটা সময় কেটেছে; হয়তো অফিসের কাজে নয়তো ট্র্যাফিকে কিংবা প্রয়োজনে বাহিরে। দিনশেষে আমরা বাড়ি ফিরেছি, এবার বাহিরের পোশাক ছেড়ে বিছানায় যাওয়ার পালা। কিন্তু দিনের এই শেষ ভাগই আমাদের বিরক্তি ও ক্লান্তির: মেকআপ এবং সানস্ক্রিন তুলে ফেলা!

উফ! মেকআপ ওয়াইপ ত্বকে ব্যবহারের কথা ভাবলেই মনে হয় ঝামেলা । আমাদের চোখ জ্বালা করা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া তো আছেই এবং এসবের পরে সকালে বালিশে ফাউন্ডেশন লেগে থাকা। যদিও আমরা নিজেদের বলি, "আর কখনও না।" কিন্তু এটা আমাদের নিয়মিত রুটিনে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।
তবে যখন মাইসেলার ওয়াটার আমাদের জীবনে এলো তখন মনে হলো, এটা বোতলে রাখা জাদু।

 

আসুন একটু ঘুরে আসি ১৯৯১ সালে, বিশ্বে ত্বকের যত্নের রাজধানী ফ্রান্স থেকে, বায়োডার্মা (BIODERMA)-এর বিশেষ দল একটি সমাধান নিয়ে এসেছিল ত্বকের যত্নে। রুক্ষতা আর ক্ষারীয় ট্যাপের পানি ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে পড়া মানুষের জন্য । তখনই জন্ম হয়েছিল মাইসেলার ওয়াটারের। এটি দেখতে সাধারণ পানির মতো কিন্তু এর একটি গোপন শক্তি হলো: মাইসেলাস নামক ছোটো অণু যা ময়লা, তেল এবং মেকআপ ত্বক থেকে টেনে বের করে আনে- ধীরে কিন্তু কার্যকরীভাবে। কোনো ধোয়া বা স্ক্র্যাবিং এর ঝামেলা ছাড়ায় পরিষ্কার, কোমল ও সুন্দর ত্বক।

 

 

আর শীঘ্রই, সারা বিশ্ব এটা বুঝতে শুরু করে। মাইসেলার ওয়াটার ত্বকের যত্নে সবার প্রিয় হয়ে ওঠে। ওয়াইপস, যা অনেক সময় আমাদের ত্বকে জ্বালা এবং পরিবেশের ক্ষতি দুইই করে থাকে কিন্তু মাইসেলার ওয়াটার আমাদের মুখ এবং পৃথিবী উভয়ের জন্যই উপকারী। এটি আমাদের ত্বককে রুক্ষ না করে পরিষ্কার করে, সব ধরণের ত্বকেই এটি ভালো কাজ করে (হ্যাঁ, এমনকি সেনসিটিভ স্কিনেও!) এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমাদের ত্বক সতেজ হয়ে ওঠে।

 

 

যদিও অনেক দিন ধরেই, আমরা বাংলাদেশে মাইসেলার ওয়াটার চাইতাম, কিন্তু তার জন্য আমাদের গার্নিয়ার বা বায়োডার্মার মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের দিকে ঝুঁকতে হত। আর যদিও এগুলো ভালো তবুও এগুলোর দাম খুব একটা কম নয়। তাছাড়া, আমরা সবসময় ভাবতাম-কেন কেউ বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত এটি তৈরি করেনি?

 

ভাবছো তো? ব্যাপারটা কিন্তু বদলে গেছে, একজন স্কিনকেয়ার প্রেমী হিসেবে নতুন প্রোডাক্ট ট্রাই করতে এবং বাংলাদেশি স্কিনকেয়ার কমিউনিটির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই এক্সাইটেড ছিলাম যখন জানতে পারি যে, আমাদের বাংলাদেশি ব্র্যান্ড স্কিন ক্যাফে, প্রথম তাদের নিজস্ব তৈরি মাইসেলার ওয়াটার বাজারে এনেছে। এটি একটি দেশি পণ্য। স্বাভাবিকভাবেই, নতুন প্রোডাক্ট বলে আমি এটি ট্রাই করেছিলাম; এবং আমি বলতে চাই, প্রচারণাটি আসল!

 

 

এটি সাশ্রয়ী মূল্যের। আমাদের ত্বক, জলবায়ু এবং চাহিদা বুঝে তৈরি। কোন বিদেশী পণ্য আমাদের ত্বকের জন্য ভালো কাজ করবে তা নিয়ে এখন আর ভাবতে হবে না।
সবচেয়ে ভালো দিক হল স্কিন ক্যাফে এখানেই থেমে থাকেনি, তারা প্রাকৃতিক তেল এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোডাক্ট দিয়ে শুরু করেছিল তাদের যাত্রা এবং এখন একটি দেশীয় স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন, সিরাম এবং মেকআপ skincafe.co অনলাইনে এবং বাংলাদেশ জুড়ে ১৫,০০০-এরও বেশি দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এ প্রোডাক্ট। আমাদের জন্য তারা, আমাদের প্রিয় ত্বকের যত্নের রুটিনকে আরো সহজ করে তুলছে।

 

ডিবিসি/এএমটি

আরও পড়ুন