স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিকগঞ্জে রাজিব হোসেন নামে এক অটোচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করায় রাজিবের বোন-দুলাভাইসহ তিনজনের নামে পর্নোগ্রাফির মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা সদর থানায় বাদি হয়ে রাজিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফির মামলা করেন। বুধবার রাতেই রাজিবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত রাজিব সদর উপজেলার নওখন্ডা গ্রামের এলমেছ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী শহরের একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী। রাজিব ও তাদের বাড়ি একই এলাকায়। প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে বিয়ের প্রলোভনে রাজিব গত ৩০ নভেম্বর নওখন্ডা এলাকায় তার বোনের বাড়িতে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। গোপনে ধর্ষণের ভিডিও স্থিরচিত্র ধারণ করে রাজিবের বোনের স্বামী স্বপন মিয়া। পরে সেই ভিডিও ও স্থিরচিত্র স্বপন তার প্রবাসী স্ত্রী পলি বেগমকে (রাজিবের বোন) ইমোতে পাঠায়। পলি সেই ভিডিও স্থানীয় গৃহবধূ মুনিয়া আক্তারের সহযোগীতায় ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারকে দেখায়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হাসিনা বেগম জানান, স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে রাজিবের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। একই সঙ্গে রাজিবের বোনের স্বামী স্বপন, বোন পলি বেগম ও স্থানীয় গৃহবধু মুনিয়া আক্তারকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি মামলা করেন। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।