প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ নিয়ে বাংলাদেশে তাদের সেবা চালু করছে। প্যাকেজ দুটি হলো , স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। এর মধ্যে স্টারলিংক রেসিডেনশিয়াল প্যাকেজের মাসিক খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার টাকা এবং রেসিডেনশিয়াল লাইট প্যাকেজের মাসিক খরচ ৪ হাজার পাঁচশ টাকা। তবে উভয় প্যাকেজের জন্যই গ্রাহকদেরকে ৪৭ হাজার টাকা এককালীন যন্ত্রপাতির খরচ বহন করতে হবে।
অবশেষে মঙ্গলবার (২০শে মে) থেকে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। স্টারলিংকের এই যাত্রার মাধ্যমে দেশে আর ইন্টারনেট বন্ধ করার সুযোগ কারো হাতে নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। এক সংবাদ সম্মেলনে, স্টারলিংকের ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে কোন শঙ্কা নেই বলেও জানানো হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমনের জন্য নানা নির্যাতনের পাশাপাশি আরো বেশকিছু পন্থা নেয় তৎকালীন সরকার। এরমধ্যে অন্যতম ছিলো ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া। অভিযোগ রয়েছে, একাধিকবার এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে সেসময় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। পরে এ নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেটকে সবার অধিকার হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরই মাঝে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবায় যুক্ত হয় স্টারলিংক। মঙ্গলবার (২০শে মে) থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রায় স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে ইন্টারনেট বন্ধ করে কেবল গণহত্যাই ঘটেনি, ব্যাপকহারে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগও। এখন থেকে কেউ আর ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না জানিয়ে আইন পরিবর্তনের কথাও জানান তিনি।
এছাড়াও জানানো হয়, সরকার স্টারলিংকে নিয়ন্ত্রণ না করলেও সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ডিবিসি/নাসিফ