বাংলাদেশ, রাজনীতি

'জিয়ার আলোকবর্তিকা দিয়ে চলমান সংকট সমাধান সম্ভব'

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৩০শে মে ২০২৫ ০৮:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সাবেক রাষ্ট্রপতি, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন। দলের নেতারা বলছেন, বিএনপি মানেই জিয়া। তার নীতি আদর্শ ধারণ করলেই এগিয়ে যাবে দেশ। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান রাজনৈতিক সংকটে জিয়াউর রহমান অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।

১৯৫৩ সালে করাচী একাডেমি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাসের পর, পাকিস্তান মিলিটারিতে শিক্ষানবিশ অফিসার হিসেবে যোগ দেন জিয়াউর রহমান। ১৯৫৫ সালে পান কমিশন।

 

একাত্তরের ২৫শে মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানী বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইটের নামে গণহত্যা শুরু করলে, ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তৎকালীন মেজর, জিয়াউর রহমান। তিনটি সেক্টরের সমন্বয়ে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধে অংশ নেন মেজর জিয়া। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পান বীরউত্তম খেতাব। নিয়োগ পান উপ সেনাপ্রধান পদে।

 

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর, অভ্যুত্থান-পালটা অভ্যুত্থানে ক্যান্টনমেন্টে টালমাটাল পরিস্থিতি। এরপর ৭ই নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তখন তিনি ছিলেন উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। ১৯৭৬ সালের ২৯শে নভেম্বর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব নেন জিয়া।

 

১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত হন তিনি। পরে জনগণের আস্থা প্রমাণ করতে আয়োজন করেন গণভোটের। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে অবসর নেন সেনাবাহিনী থেকে।

 

১৯৭৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি 'জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল' বা জাগদল প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান। এরপর সমমনাদের নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক বলয় তৈরির লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালের পহেলা মে প্রতিষ্ঠা করেন 'জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট'। এরপর ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান।

 

মাত্র কয়েক বছরের শাসনামলে তার খাল খনন কর্মসূচি, গণশিক্ষা, গ্রাম সরকার, ভিডিপির মতো কর্মসূচি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। জনশক্তি রপ্তানি ও গার্মেন্টস সেক্টরের উত্থান জিয়াউর রহমানের আমলেই হয়। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রামে এক রাজনৈতিক সফরে গেলে রাতে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কয়েকজন কর্মকর্তা সার্কিট হাউসে হামলা চালিয়ে হত্যা করে জিয়াকে। পরে ঢাকায় জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করে, কতটা জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।

 

বিএনপি নেতারা বলছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মতো আদর্শিক আন্দোলনের পথিকৃত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নীতি আদর্শ অনুসরণ করলেই এগিয়ে যাবে দেশ।


দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, তা থেকে উত্তরণে জিয়াকে আলোকবর্তিকা হিসেবে গ্রহণের পরামর্শ রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

 

জাতীয় জীবনে নৈতিকতা, আত্মমর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র টেকসই করতে জিয়াউর রহমানের নীতি-আদর্শই অন্যতম প্রধান সহায়ক হতে পারে, মনে করেন বিশ্লেষকরা। 
 

ডিবিসি/এনএসএফ

আরও পড়ুন