বাংলাদেশ, রাজধানী

স্বৈরাচারী সরকার তরুণদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল: উপদেষ্টা আসিফ

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ২৩শে জুন ২০২৫ ০৪:১০:৩১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বাংলাদেশের বিগত স্বৈরাচারী সরকার তরুণদের ভোটাধিকার হরণ, কণ্ঠরোধ এবং তাদের ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল। তিনি বলেন, সেই অন্ধকার অধ্যায় থেকে তরুণদের সাহস ও ত্যাগের বিনিময়েই দেশ আজ মুক্ত।

সোমবার (২৩শে জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কমনওয়েলথ চার্টার যুব কর্মশালা বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমাদের ইতিহাসে এমন অন্ধকার অধ্যায় রয়েছে, যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ অসংখ্য পরিবারকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই কখনও একটি স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বাদ পায়নি, এমনকি ভোট দেওয়ার সুযোগও পায়নি। তাদের কণ্ঠস্বর চেপে দেওয়া হয়েছিল।”

 

তিনি বলেন, “তরুণরাই ছিল সেই আলোকবর্তিকা, যারা একটি নতুন যুগের জন্য সংগ্রাম করেছিল এবং গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। তাদের সাহসের বদৌলতেই আমরা একটি স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছি।”

 

বর্তমান সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা ব্যাপক সংস্কারমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বেশ কিছু কমিশন গঠন করা হয়েছে, যারা ইতোমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। কিছু প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, অন্যগুলো নিয়ে কাজ চলছে।”

 

তিনি একটি গণতান্ত্রিক ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা ও মর্যাদা সুরক্ষিত থাকবে। তবে এটি সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এ জন্য তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।”

 

কমনওয়েলথের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “কমনওয়েলথ চার্টার হলো আমাদের সম্মিলিত বিশ্বাসের একটি মৌলিক দলিল, যা আইনের শাসন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।”

 

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেসি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “আপনি আজ যা করবেন, তা-ই আপনাকে গড়ে তুলবে এবং আগামী ৩০ বছরে আপনি কী হয়ে উঠবেন তা নির্ধারণ করবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আপনার বর্তমান পছন্দের ওপর নির্ভর করে।”

 

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ বদলাচ্ছে, বিশ্ব বদলাচ্ছে, এবং আপনারা সেই পরিবর্তনের কারিগর। আসুন আমরা এই যাত্রায় একসাথে কাজ করি—গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী, শাসনব্যবস্থাকে আরও জবাবদিহিমূলক ও সমাজকে আরও মানবিক করে গড়ে তুলতে।”

 

ডিবিসি/এএনটি

আরও পড়ুন