বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাবার, হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মা ও মেয়ে

ডেস্ক ‍নিউজ

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১৯শে মে ২০২৫ ০৮:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাজশাহীর বাঘায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বাবার, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশু আহত হয়েছেন। আজ সোমবার (১৯ই মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাঘা পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ায় বাঘা-ঈশ্বরদী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহেদুল ইসলাম শান্ত (২৭) বাড়ীতে এসেছিলেন ছুটিতে। ৫ বছরের মেয়ে তুরাইফাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্কুলে। সঙ্গে ছিলেন অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী জেসমিন আক্তারী (২৪)। কিন্তু তারা কেউ স্কুলে পৌছাতে পারেননি। ঢাকাগামী একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবা এবং শিশু কন্যার একটি করে পা বিচ্ছন্ন হয়ে যায় ঘটনাস্থলেই। স্থানীয়রা সেই পা দুটি কুড়িয়ে তাদের সঙ্গে ভ্যানে তুলে দেন। ভেঙে যায় গর্ভবতী স্ত্রীর একটি হাত। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শান্ত ইসলাম।

 

সোমবার (১৯শে মে) সকাল পৌনে ৯টায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়ায় যাত্রীবাহী একটি বাস শান্তর মোটরবাইককে চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই শান্ত ইসলামের (২৭) একটি পা এবং তার শিশু কন্যা উম্মে তুরাইফার (৫) একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে সড়কের উপর পড়ে থাকে। তুরাইয়া বাঘার গ্রীন হেভেন স্কুলের প্লে গ্রুপের ছাত্রী।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১৯শে মে) সকালে শান্ত তার স্ত্রী ও সন্তানকে মোটরসাইকেলে করে মেয়ের স্কুলে যাচ্ছিলেন। পথে বানিয়াপাড়ায় পৌঁছালে ঢাকাগামী সুপার সনি নামের একটি যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দেয়। এসময় বাবা-মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবা ও মেয়ের শরীর থেকে একটি করে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় শান্তর স্ত্রীর একটি হাত ভেঙ্গে যায়।

 

গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সকলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তকে মৃত ঘোষণা করেন। তুরাইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে।

 

এই ঘটনার পরে বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যায়। পরে বাসটি পুলিশ থানায় জব্দ করেন। বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বলেন, বাস জব্দ আছে। চালক পলাতক রয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবে। 

 

ডিবিসি/নাসিফ

আরও পড়ুন