রাঙ্গামাটিতে সড়ক নির্মাণকাজ নিয়ে বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ আগষ্ট) রাতে খেদারমারা ইউনিয়নের দুরছড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৯ জনকে খাগডাছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩ জনকে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মারামারিতে খেদারমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মদন মল্লিক, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহামুব, আওয়ামী লীগ সদস্য জসিম, ছাত্রলীগ সহসভাপতি রিমন দে, সেচ্ছাসেবক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র ও তার মা কবিতা রাণী দে, সেচ্ছাসেবকলীগ সহ-সভাপতি মো. হাছান, পথচারী আবদুল হামিদ, আইয়ুব আলী আহত হয়।
বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল এসপি ও রাঙামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বলেন ১২ লাখ টাকার একটি যাত্রী ছাউনি স্থাপন নিয়ে খেদারমারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মদন মল্লিক ও সেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন এর মধ্যে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়। ঘটনার পরপরই বাঘাইছড়ি থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
খেদারমারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গাফফার চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা বাজারে একটি যাত্রী ছাউনি স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই নেতার মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। আর সভাপতির তো নিজস্ব কিছু লোকজন থাকে। তারা যখন এগিয়ে আসে তখনই মারামারি শুরু হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার বিশ্বজিৎ দাশ জানান ৩ জনকে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বাকী ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ডিবিসি/কেএমএল