কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলাচল করছে যানবাহন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অর্ধশতাধিক স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রী-চালকরা। এদিকে যানজট প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে যানজট নিরসনসহ ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি হাইওয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি না হলেও, শেষ কর্ম দিবসে কোথাও কোথাও রাজধানী ছেড়ে যাওয়াদের ভিড় ছিলো। কোথাও কোথাও ছিলো যানজটও।
যানজটের আশঙ্কা বিবেচনায় রেখে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১২টি জায়গাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের কোথাও যেন পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি কিংবা মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খাইরুল আলম।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ প্রান্তে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও নির্বিঘ্নে চলাচল করছে যানবাহন।
আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়কে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হয়েছে। তার ওপর এবছর বৈরি আবহাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা থাকায় বেড়েছে যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এছাড়া ছিনতাই-ডাকাতির আতঙ্ক তো আছেই। বাড়তি নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে প্রশাসন।
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে। থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটিএ প্রকল্পের ফ্লাইওভারগুলো চালু হলেও ঈদের আগে যানজটের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় নেয়া হবে বাড়তি ব্যাবস্থা বলে জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার, এস এম আশরাফুল আলম। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে। গণপরিবহন না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও গরুবাহী ট্রাকে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ৩শ টাকার ভাড়া ৬শ থেকে ৭শ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
ডিবিসি/এনএসএফ