হংকংয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় কুকুর শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ওই বাড়ির আরও একটি পোষা কুকুরও করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীর পোষা দুটি কুকুরের দেহে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে বলে চীননিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটির সরকার নিশ্চিত করেছে। ৬০ বছর বয়সী ওই নারী করোনায় আক্রান্ত বলে গত ১২ই ফেব্রুয়ারি নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। এরপর আক্রান্ত হয় তার একটি কুকুর। এবার তার পোষা আরেকটি কুকুরের শরীরেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেল। কয়েক দফা পরীক্ষায় কুকুরটির দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
কুকুরটির দেহে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটলেও রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়নি বলে জানানো হয়েছে। হংকংয়ের কৃষি, মৎস্য ও সংরক্ষণ বিভাগের (এএফসিডি) বিবৃতিতে জানানো হয়, পোক ফু লাম এলাকায় বসবাস করা ওই জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুরটিকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এএফসিডি এক সতর্কবার্তায় কুকুর, বিড়ালদের ধরার আগে ও পরে এগুলোর দেখভালকারীদের ভালোমতো হাত ধুয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছে। পোষ্যপ্রাণীদের খাবার ও অন্যান্য কিছু ধরার বেলায়ও একই সতর্কতা মেনে চলতে বলেছে তারা। পোষা কুকুর ও বেড়ালকে চুমু না খেতেও পরামর্শ দিয়েছে তারা। কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার স্তন্যপায়ী পোষাপ্রাণীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।
গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডাব্লুএইসও প্রথমবারের মতো ওই বাড়ির একটি কুকুর করোনা আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করে। জেনেভায় ডাব্লুএইচওর সদর দপ্তরে এক প্রেস কনফারেন্সে ডাঃ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানান, যে ক্যানিন পরীক্ষায় কুকুরটির দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে সেটার উপস্থিতি নিম্ন স্তরে। ঠিক কিভাবে কুকুরটি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত কিছু বলতে পারেন নি।