হবিগঞ্জ শহরে এসএসসি পরীক্ষার্থী জনি দাসকে (১৭) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম সাজু মিয়া।
রবিবার (৬ই জুলাই) ভোরে হবিগঞ্জ শহরের কামড়াপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃত সাজু মিয়া আজমিরগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মৃত হুসমান মিয়ার ছেলে। সে হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
পুলিশ সুপার জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩রা জুলাই) ভোরে শহরের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকায় চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে সাজু। এসময় জনি দাস ও তার বড় ভাই জীবন দাস জয় তাকে ধরে ফেললে সে দুজনকেই ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় শনিবার (৫ই জুলাই) নিহত জনির বাবা নরধন দাস বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত হিসেবে সাজুকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজু মিয়া ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। পুলিশের ধারণা, এটি কোনো পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নয়; চুরি করতে এসে বাধা পাওয়ায় সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
পরে আজ বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত সাজুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিবিসি/এএনটি