হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মিষ্টির কার্টুনের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৮ই অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে টর্চ লাইট জ্বালিয়েই এই সংঘর্ষ চলে। ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১০ই অক্টোবর কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সাদমান আহমেদ ইমন ইমামবাড়ি বাজারে 'ভাই ভাই হোটেল' থেকে মিষ্টি ক্রয় করেন। হোটেলটির মালিক সন্দলপুর গ্রামের আমির উদ্দিন। মিষ্টির কার্টুনে অতিরিক্ত ওজন ধরা পড়লে সাদমান ইমন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে হোটেল মালিক পক্ষ ও ইমনের পরিবারের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরই জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সন্দলপুর ও কালিয়ারভাঙ্গা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেসময় বিদ্যুৎ না থাকায় গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। দুই পক্ষই টর্চ লাইট জ্বালিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুরো বাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে টর্চের আলো আর চিৎকারে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।"