বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা ভেঙে ভয়াবহ সংঘর্ষ; নিহত ১, আহত শতাধিক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ৭ই জুলাই ২০২৫ ১১:০৭:০৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত ও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সোমবার (৭ই জুলাই) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই সহিংসতায় অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয় এবং অন্তত ১০টি দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করলেও তা উপেক্ষা করে সংঘর্ষ চলতে থাকে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ২টা থেকে শহরের মধ্যবাজার, শেরপুর রোড ও হাসপাতাল সড়ক এলাকায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। নিহত ফারুক মিয়া (৩৮) পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে এবং পেশায় একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক ছিলেন।

 

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতের একটি কথাকাটাকাটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। তিমিরপুর গ্রামের খরচু মিয়া তালুকদারের সঙ্গে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশাহিদ আলী আশার বিবাদের জের ধরে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়, যা শুক্রবার রাতে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় রূপ নেয়।

 

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মৎস্যজীবী অধ্যুষিত আনমনু, রাজাবাদ, রাজনগর, কানাইপুর ও নোয়াপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘাত চলাকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালসহ প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন বিকেল ৪টায় পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার (৮ই জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত সকল প্রকার সমাবেশ, মিছিল ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়। তবে, এই আদেশ জারির পরও কিছু সময় ধরে সংঘর্ষ চলে।

 

অবশেষে সন্ধ্যার পর বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ দল অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে।

 

ডিবিসি/এএনটি

আরও পড়ুন