ভেনেজুয়েলা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন রণতরীর উপস্থিতি। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার দেশে সামরিক হামলা চালিয়ে সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার (২রা সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে মাদুরো দাবি করেন, আটটি যুদ্ধজাহাজ এবং প্রায় এক হাজার ২০০ মিসাইল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি গত ১০০ বছরের মধ্যে আমাদের মহাদেশে সবচেয়ে বড় হুমকি।’
মাদুরোর দাবি, এই সামরিক সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হলো মাদক দমনের নামে ভেনেজুয়েলায় সরকার পতন ঘটানো। যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলায় তার দেশের সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। সম্ভাব্য মার্কিন হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় মাদুরো ইতোমধ্যে উপকূলীয় ও সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছেন এবং সাধারণ নাগরিকদের আধাসামরিক বাহিনীতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই অঞ্চলে তাদের নৌবাহিনীর উপস্থিতির কারণ হলো মাদক চোরাচালান চক্রকে প্রতিহত করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছে, যদিও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাদুরোকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত আগস্টে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
সূত্র: আল আরাবিয়া
ডিবিসি/এফএইচআর