বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণের মনোজগতে এক বিশাল পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, এই পরিবর্তনকে ধারণ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, 'ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একক রাজত্ব কায়েম করেছিল। আমাদের গণতন্ত্রকে পরিপূর্ণভাবে পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে। সেই গণতন্ত্র প্রবর্তনের জন্য আমাদের মনমানসিকতা এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ভিন্নমতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে নিগৃহীত হয়েছে, মানুষের ওপর যে অবিচার হয়েছে, ৬০-৭০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, কয়েক হাজার লোক গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, পুলিশের হেফাজতে এবং জেলখানার মধ্যে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। গত ৫ আগস্ট আমি নিজেও কারাগারে বন্দী ছিলাম।'
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, 'শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণের মনোজগতে যে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে, যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা জেগেছে, সেটা আমাদের রাজনীতিবিদদের ধারণ করতে হবে।'
সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ওমর ফারুক ইউসুফ, সিভাসুর পরিচালক ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন, পরিচালক ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম ও পরিচালক ড. এ কে এম হুমায়ুন কবির।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এছাড়া, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত সিভাসুর ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত বিন জাহাঙ্গীরও তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
ডিবিসি/এনএসএফ