জুন ও জুলাই মাসে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ। বনের মানব সৃষ্ট ক্ষতি প্রাকৃতিকভাবে পুষিয়ে নেয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। ফলে, বনে সম্পদ আহরণের জন্য বনজীবী ও দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এ সময়ের জন্য বনের ওপর নির্ভরশীল জেলে ও বনজীবীরা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সুন্দরবনে যে ক্ষতি হয় সেটি বন নিজ উদ্যোগে পুষিয়ে নিতে পারলেও মানব সৃষ্ট ক্ষতি পোষানো যায় না। জুন-জুলাই এই দুই মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই সময়ে আহরণের জন্য বনজীবি ও দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে না। মানব সৃষ্ট এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই সিদ্ধান্ত বন বিভাগের গবেষক দলের।
বনকে দুই মাসের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিশ্রামের মধ্য দিয়ে, বনের সকল প্রাণী উপকৃত হবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলছেন এই অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।
বন বিভাগের এই সিদ্ধান্তে, যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে বনের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে এমন প্রত্যাশা সকলের। তবে এ সময়ের জন্য বেকার হয়ে পড়বেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে ও বনজীবীরা। তাই নিষেধাজ্ঞার এ সময় সরকারি সহায়তার দাবি তাদের।
ডিবিসি/এনএসএফ