বাজেটে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবার ওপর আরেক দফা সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এতে গ্রাহকের কাছ থেকে ১০০ টাকায় ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা কেটে নেবে সরকার। বাজেটে কর বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে, টেলিকম অপারেটরের সংগঠন এমটব।

মোবাইলে কথা বলার খরচ ও ইন্টারনেট খরচ আরও কমিয়ে আনার দাবি সাধারণ গ্রাহকদের।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ ও ইন্টারনেট সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

মোবাইল ফোনে কথা বলার ওপর ১০০ টাকায় আগে নেয়া হতো ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। এখন একশ' টাকায় কেটে নেয়া হবে ৩৩ টাকা ৫৭ পয়সা। এই টাকা নেয়া হবে গ্রাহকদের থেকে।

খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষেরা মনে করেন, মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ আরও কমানো উচিৎ। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখন একাডেমিক কাজগুলো প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় ইন্টারনেট খরচ বেড়েছে।

ইন্টানেট সেবার ওপর থেকে পুরো ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে, মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক।

টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরদের সংগঠন এমটব বলছে, মোবাইল খাতকে দুর্বল করার জন্যই করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে সরকার।

শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব রকম কাজ যখন মোবাইল ও ইন্টারনেট নির্ভর, তখনই সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে সম্পূরক শুল্ক।