চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল-সিইপিজেড এলাকায় কারখানা ভবনে লাগা আগুন দশ ঘণ্টায়ও নেভেনি। আগুন ছড়িয়েছে ভবনের নিচতলা পর্যন্ত। অবশ্য কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস ২৭টি ইউনিট কাজ করছে। হালকা বৃষ্টিও পড়ছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না ভয়াবহ এ আগুন।
রাতে দেখা গেছে, ভবনটির উপরের দু-তিনটি তলার ছাদের সিলিং আগুনে গলে ভেঙে পড়ছে। সবশেষ আট তলা ভবনটির নিচ তলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়েছে।
ভবন ঘিরে বিকাল থেকে বেশ কিছু উৎসুক মানুষ ভিড় করে আছে। আগুন লাগার পর নির্ধারিত সময়ের আগেই কারখানাটির আশেপাশের বেশ কয়েকটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ই অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সিইপিজেডের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ২টার পর শুরুতে ভবনের সাততলার এক কোণায় আগুনের সূত্রপাত হয়। এর কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ইপিজেড এলাকায় প্রবেশ করে।
ভবনটিতে অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানি নামের দুটি প্রতিষ্ঠান আছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটির আটতলা খালি। সাততলায় অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদাম। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। অ্যাডামস ক্যাপে টাওয়েল ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিকেল গাউনসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভবনটির একটি ফ্লোরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ভবনে আগুন লাগার সময় দুপুরের খাবারের বিরতি থাকায় কারখানার শ্রমিকরা বেশিরভাগ সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। ভবনে কোনো শ্রমিক নেই বলে কারখানার কর্তৃপক্ষের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তারা জানান।
ডিবিসি/কেএলডি