লন্ডনের ৫৩ পার্ক লেন স্ট্রিটে অবস্থিত হোটেল ডোরচেস্টার। ৫ তারকা মানের এই হোটেলেই ১৩ জুন বৈঠক বসবেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠক চলবে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত।
দেশের গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে, ঐক্যবদ্ধ হবার শুভ সূচনা হতে পারে লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক। এমন অভিমত দিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈঠক সফল করতে দুপক্ষকেই ছাড় দেয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে উভয়কেই এক কদম এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তারা।
যদিও প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের আগেই নির্বাচনী রোডম্যাপ, করিডোর, বন্দর ও সংস্কার ইস্যুতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সাথে অন্তবর্তী সরকারের দূরত্ব ক্রমশই স্পষ্ট হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, দুঘন্টাব্যাপী বৈঠক হতে পারে পারস্পরিক দূরত্ব ঘোচাবার শুভ সূচনা। যা উভয়পক্ষ তথা দেশের জন্য মঙ্গলজনক বলে মত বিশ্লেষকদের।
আর উভয়পক্ষকে খোলামনে মুখোমুখি আলোচনার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের সফলতা নির্ভর করছে দুপক্ষের ছাড় দেয়ার মানসিকতা উপর। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আগামীর বাংলাদেশের স্বার্থে রাজনৈতিক ঐকমত্যই একমাত্র সমাধান বলে রাজনীতিবিদের সজাগ থাকার আহ্বানও জানান রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুব উল্লাহ।
ডিবিসি/এনএসএফ