এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে। ২০১০ সালের পর পাসের হার এতটা নিচে নামেনি আর কখনো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রকাশিত এটিই প্রথম পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, যেখানে পাসের হার মাত্র ৬৮.৪৫ শতাংশ।
এ বছর মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ লাখ ৬৬০ জনই ফেল করেছে। ২০১৮ সালে সর্বনিম্ন পাসের হার ছিল ৭৭.৮ শতাংশ, যা এবারের চেয়ে অনেক বেশি। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১৪.৫৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪৩ হাজার ৯৭ জন।
শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও ১,৯৮৪টি কমেছে, অন্যদিকে একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। গণিতেও ফলাফল খারাপ হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ড. খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এবার শিক্ষার্থীদের খাতা তাদের লেখা অনুযায়ী কঠোরভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। কোনো ধরনের উদারতা দেখানো হয়নি।
শিক্ষা গবেষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুস সালাম মনে করেন, এই ফলাফল বিপর্যয়ের পেছনে জুলাই আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। তিনি পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবার তাগিদ দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ভালো ফলাফল নয়, শিক্ষার প্রকৃত মানোন্নয়ন না হলে সামনে এগোনো কঠিন হবে।
ডিবিসি/এএনটি