জাপানে ২০১৭ সালে ৯ জনকে হত্যাকারী তাকাহিরো শিরাইশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে ২০২২ সালের পর এটিই প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা। এই হত্যাকাণ্ডটি ‘টুইটার কিলার’ ঘটনা নামে পরিচিত, যা পুরো জাপানকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল।
চাঞ্চল্যকর এই সিরিয়াল কিলিং-এর ঘটনা অনলাইনে আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনার বিষয়টিকে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়। তাকাহিরো শিরাইশি, যার ডাকনাম হয়ে গিয়েছিল ‘টুইটার কিলার’, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ব্যবহার করে তার শিকারদের প্রলুব্ধ করতেন।
জানা যায়, শিরাইশি তার শিকারদের—যাদের বেশিরভাগই ছিল ১৫ থেকে ২৬ বছর বয়সী তরুণী—টুইটারের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ডেকে আনতেন। এরপর তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেহ বিচ্ছিন্ন করে ফেলতেন।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে। পুলিশ নিখোঁজ একজন ভুক্তভোগীর সন্ধান করতে গিয়ে টোকিওর নিকটবর্তী জামা শহরে শিরাইশির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে একাধিক খণ্ডিত দেহাংশ উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দীর্ঘদিন বিরতির পর জাপানে আবারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আকর্ষণ করেছে।
তথ্যসূত্র বিবিসি।
ডিবিসি/এমইউএ