করোনা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতাসহ নানা জটিলতা কাটিয়ে আবারও গতি ফিরেছে রংপুর-ঢাকা চার লেন মহাসড়ক নির্মাণ কাজে। আধুনিক এই মহাসড়ক আগামী বছরের জুনেই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সড়কপথে আন্তঃযোগাযোগ তৈরি এবং বিভিন্ন করিডোরে যুক্ত হওয়াসহ উত্তরের ১৬ জেলায় সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে নির্মিত হচ্ছে রংপুর-ঢাকা চার লেন মহাসড়ক। এই মহাসড়ক নির্মাণ হলে ভাগ্য বদলে যাবে উত্তরের ১৬ জেলার মানুষের। পাঁচ ঘণ্টায় সড়ক পথে রংপুর থেকে আসা যাবে রাজধানীতে।
মহাসড়কটির কাজ ২০২০ সালে শুরু হলেও, মাঝপথে নানা জটিলতায় হোঁচট খায় প্রকল্পটি। কিন্তু এখন আবার দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে নির্মাণ কাজ।
আগামী বছরের জুনে মহাসড়কটি উন্মুক্ত করার আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
সাসেক রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-২ এর আবাসিক প্রকৌশলী অনুপ কুমার মণ্ডল বলেন, করোনা মহামারীর সময় ভুটান থেকে পাথর আসেনি ভারতের বর্ডার বন্ধ থাকার কারণে। তাই আমাদের দেশের মধ্যপাড়ার যে পাথর আছে সেই পাথর দিয়েই এখন কাজ চালাচ্ছি।
নির্মাণ কাজ শেষ হলে আধুনিক এই মহাসড়কে কমবে যানজট ও দুর্ঘটনা। অল্প সময়ে পৌঁছানো যাবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায়। মহাসড়ক ঘিরে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পের নকশায় কিছুটা পরিবর্তনে ব্যয় বাড়লেও, সমন্বিতভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাসেক রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-২ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার এএইচএম জাভেদ হোসেন তালুকদার বলেন, ডিজাইনগত পরিবর্তনের জন্য খরচে কিছু পরিবর্তন আসবে। নির্ধারিত সময় ছিল ২২ শে জুন পর্যন্ত। কিন্তু মনে হয় সময় একটু বেশি লাগবে।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, আমাদের কাজের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করা আছে যে কোন সময়ে কোন কাজটা বুঝিয়ে দিবো। কন্ডাক্টর যেন কোন সময় কাজ ছাড়া বসে না থাকে এবং প্রজেক্ট অফিসের সাথে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি।
পুরো প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ আর রংপুরের প্রবেশ পথে পরমাণুবিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার তোরণ নজর কাড়ে।