ইউএসএআইডি’র তহবিল কর্তন

২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১.৪ কোটি মানুষের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১লা জুলাই ২০২৫ ১১:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)-এর তহবিলে ব্যাপক কর্তন এবং সংস্থাটি ভেঙে দেওয়ার সম্ভাব্য পরিণাম হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে অতিরিক্ত ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

সোমবার (৩০শে জুন) চিকিৎসা বিষয়ক প্রসিদ্ধ জার্নাল 'দ্য ল্যানসেট'-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে।

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডি এবং এর সাহায্য কর্মসূচিগুলোর তহবিল কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অপব্যয় রোধ এবং মার্কিন করদাতাদের অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, আমেরিকার স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বৈদেশিক সাহায্য কর্মসূচিগুলোকে নতুন করে সাজানো।

 

'দ্য ল্যানসেট'-এর গবেষণা অনুসারে, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মানবিক সহায়তা কর্মসূচিগুলো বিগত দুই দশকে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, যদি এই তহবিল কর্তন অব্যাহত থাকে, তবে এর ফল হবে মারাত্মক।

 

গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তহবিল কর্তনের ফলে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে:

 

শিশু স্বাস্থ্য: ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর হার বাড়বে।

সংক্রামক রোগ: এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং যক্ষ্মার মতো রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যাহত হবে, যা এই রোগগুলোর পুনরায় বিস্তার ঘটাতে পারে।

মাতৃস্বাস্থ্য: গর্ভবতী মা ও নবজাতকদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা: অপুষ্টিজনিত সমস্যা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে, বিশেষ করে সংঘাতপূর্ণ এবং দরিদ্র দেশগুলোতে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, এই সম্ভাব্য ১.৪ কোটি অতিরিক্ত মৃত্যুর একটি বড় অংশই হবে শিশু ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে।

 

ইউএসএআইডি বিশ্বজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্যের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দারিদ্র্য বিমোচন, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই, শিক্ষা বিস্তার এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

তথ্যসূত্র রয়টার্স

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন