মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল একে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছেন।
শুক্রবার (১লা আগস্ট) হোয়াইট হাউস থেকে বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত শুল্কের তালিকা প্রকাশ করা হয়, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এই ঘোষণার পরই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে ড. আসিফ নজরুল লেখেন, "১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ। অ্যানাদার সাকসেস অফ ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট।"
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এই সিদ্ধান্তকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে সফল হয়েছি। এটা আমাদের পোশাক খাত ও এই খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য একটি বিরাট সুসংবাদ।"
এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তার মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বাজার হারানোর পর ভারত সেই শূন্যস্থান পূরণের দৌড়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আমাদের প্রতিযোগী ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা আমাদের চেয়ে বেশি।"
তিনি আরও যোগ করেন, এই শুল্ক কাঠামোর কারণে মার্কিন ক্রেতারা এখন চীনের বিকল্প হিসেবে ভারতকে না ভেবে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন, যা দেশের রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের চেয়ে কম শুল্কের সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে বাংলাদেশ।
ডিবিসি/এমইউএ