নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা লরেন্স ওয়াটকিন্স ব্যক্তিগত দীর্ঘতম নামের জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব অর্জন করেছেন। তার নামে মোট ২,২৫৩টি অনন্য শব্দ রয়েছে, যা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা নামাঙ্করণের ঐতিহ্যকেও ছাড়িয়ে গেছে।
১৯৯০ সালের মার্চ মাসে লরেন্স আইনত তার নাম পরিবর্তন করে ২,০০০-এর বেশি মধ্যনাম যোগ করেন। এই অসাধারণ পরিবর্তনের ফলেই তিনি বিশ্বের দীর্ঘতম ব্যক্তিগত নামের অধিকারী হন।
এই প্রসঙ্গে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে লরেন্স জানান, আমি সব সময়ই এমন অদ্ভুত রেকর্ডগুলোর প্রতি আকৃষ্ট ছিলাম, যা কিছু মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করে এবং আমিও সেই দৃশ্যের অংশ হতে চেয়েছিলাম। আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইটি পাতা উল্টে দেখেছি যে কোনো রেকর্ড আমি ভাঙতে পারি কিনা, এবং আমার হাতে কেবল একটিই সুযোগ ছিল বর্তমান ধারকের চেয়ে বেশি নাম যোগ করা।
সেই সময়ে কম্পিউটারের সীমিত ব্যবহারের কারণে এই পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল দীর্ঘ এবং কঠিন। লরেন্স তার নামের সম্পূর্ণ তালিকা টাইপ করার জন্য কয়েকশো ডলার খরচ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে জেলা আদালত তার আবেদন অনুমোদন করলেও রেজিস্ট্রার জেনারেল তা প্রত্যাখ্যান করেন।
দমে না গিয়ে লরেন্স নিউজিল্যান্ডের হাইকোর্টে আপিল করেন, এবং আদালত তার পক্ষেই রায় দেয়। এই ঘটনার পরই, ভবিষ্যতে অনুরূপ ঘটনা রোধ করতে দ্রুত দুটি আইনে পরিবর্তন আনা হয়। উল্লেখ্য, প্রথমে রেকর্ডটি ২,৩১০টি নাম হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও, পরবর্তীতে গিনেসের সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে তা ২,২৫৩টি নাম হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, লরেন্স সে সময় সিটি লাইব্রেরিতে কাজ করতেন এবং বিভিন্ন বই থেকে নামগুলি সংগ্রহ করেন। সহকর্মীদের কাছ থেকেও তিনি নানা সুপারিশ পান।
তিনি জানান, আমার প্রিয় নামটি হল AZ2000, যার মানে হল আমার কাছে A থেকে Z পর্যন্ত নাম রয়েছে এবং আমার মোট ২০০০টি নাম রয়েছে।
লরেন্স বলেন, যখন তিনি কাউকে তার নামের সংখ্যা বলেন, তখন সাধারণত তারা তা বিশ্বাস করতে পারেন না। তবে এই দীর্ঘ নামের কারণে তাকে সবচেয়ে বড় যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা হল সরকারি বিভাগগুলোতে। কারণ, তার পূর্ণ নাম কোনো পরিচয়পত্রের ফর্মে লেখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
তথ্যসূত্র এনডিটিভি।
ডিবিসি/এমইউএ