ক্যারিবীয়দের পেস-বান্ধব উইকেটে ৩ টেস্টই জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কেবল হোয়াইটওয়াশ হলেই হয়তো সান্ত্বনা পেতে পারতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরা। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্যভাবে দলটি মাত্র ২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে। যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে এই ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক চেজের অভিব্যক্তিটা হয়তো দুই শব্দেই বোঝা যায়। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পারফরম্যান্সকে ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘বিব্রতকর’ কলে উল্লেখ করেছেন। আর মাত্র একটি রানের জন্য টেস্টের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা মাত্র ১৪.৩ ওভারেই ২৭ রানে অলআউট হয়েছে।
ক্যারিবীয়দের এমন ধসের পেছনে তারা কী নিজেদেরই দায় দেবেন নাকি স্টার্ক-বোল্যান্ডের অতিমানবীয় বোলিংয়ের ভূমিকা রয়েছে সেই বিশ্লেষণ আপাতত তোলা থাকুক। ক্যারিবীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে সেই ধসের শুরুটা করেন মিচেল স্টার্ক। শেষ পর্যন্ত তিনি শিকার করেন ৬ উইকেট। তার পাশাপাশি ইতিহাসের অংশ হয়েছেন স্কট বোল্যান্ডও। টেস্টের মাত্র দশম বোলার হিসেবে তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন।
টেস্টে সর্বনিম্ন ২৬ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড হয়েছিল ৭০ বছর আগে। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ড টেস্টে নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সেই লজ্জায় ডুবেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটা হয়তো ক্যারিবীয়দের বিব্রতকর অনুভূতিতে লাগাম পরাবে না, তবে লজ্জাজনক ইনিংসের তালিকায় দুইয়ে রাখবে। এর আগে টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন ৪৭ রানে অলআউট হওয়ার নজির ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টও কাকতালীয়ভাবে হয়েছে জ্যামাইকার এই মাঠেই। এবার আরও ২০ রানের কমে অলআউটের হলো রোস্টন চেজের দল।
রেকর্ডগড়া এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ব্যাটারই ডাক (শূন্য রান) নিয়ে আউট হয়েছেন। এমনকি তাদের প্রথম ছয় টপঅর্ডার ব্যাটার মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান। যা টেস্ট ইতিহাসের কোনো ইনিংসে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা ১৪.৩ ওভার টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে মাত্র ১২.৩ ওভার ব্যাট করেছিল। এ ছাড়া গত নভেম্বরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৩.৫ ওভারে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
ডিবিসি/কেএলডি