ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৬ বছর ধরে নির্বাচনবিহীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন নিয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচন না হওয়ায় সংগঠনে দেখা দিয়েছে নেতৃত্বশূন্যতা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জোরালো কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত মাত্র ছয়বার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯০ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর ছাত্রসংগঠনগুলোর সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে আর নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রশাসন দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে, এমন প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
গত এক বছর ধরে শিবির, ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলো নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁইয়া এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেছেন।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় "ফ্যাসিবাদের দোসর" শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. কামাল উদ্দীন জানান, সম্প্রতি চাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন হয়েছে এবং ডিসেম্বরে সাত সদস্যের নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে প্রশাসন এখনো অন্ধকারে।
ডিবিসি/কেএলডি