সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সেনা সদস্য নাটোরের লালপুর উপজেলায় কর্পোরাল মাসুদ রানার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। কান্না থামছে না স্ত্রী আসমাউল হুসনা আখি ও মা মর্জিনা বেগমের। মাসুদের ৮ বছরের একমাত্র কন্যা মাগফিরাতুল মাওয়া আমিনাও স্তব্ধ হয়ে আছে।
শান্তিরক্ষা মিশনে মাত্র একমাস ৮ দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে চাকরি করছেন মাসুদ। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মাসুদ রানার বাড়ি লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামে। তার মৃত্যুতে শোকাহত প্রতিবেশীরাও।
শনিবার (১৩ই ডিসেম্বর) সন্ত্রাসীরা ইউএন ঘাঁটি আক্রমণ করলে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ৮ জন আহত হয়েছেন। যুদ্ধ চলমান বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিয়ার)।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই এলাকায় পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল রয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নেরবোয়ালিয়া পাড়া গ্রামের সাহার উদ্দিনের তিন ছেলেই সেনাবাহিনীতে কর্মরত, এর মধ্যে বড়ছেলে কর্পোরাল মাসুদ রানা। শোকে স্তব্ধ বাবা-মা, স্ত্রী আখি ও আট বছরের মেয়ে অপেক্ষায় আছেন প্রিয়জনের মরদেহ পৌঁছানোর।
এদিকে, সুদানে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সেনা সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার (১৪ই ডিসেম্বর) বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন- কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), সৈনিক শামীম রেজা (রাজবাড়ী), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
ডিবিসি/ এইচএপি