বাংলাদেশ, জাতীয়

৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা খরচে গ্রিন রেলওয়ের প্রকল্প গ্রহণ

বাসস

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৩রা মে ২০২৫ ০৮:৫৮:২৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দেশে গ্রিন রেল পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ে এই ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে আনুমানিক ব্যয় ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০২৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই শেষ হবে।

মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং বাকি ৬৫ কোটি ১৪  লাখ টাকা বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে প্রকল্প ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে। প্রকল্পটি সম্প্রতি একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

 

ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরের অধীনে কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন এবং ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) এবং তারপর সিজিপিওয়াই থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বে টার্মিনাল এবং চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা পর্যন্ত প্রকল্পটির অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

 

বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া অর্থ বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে স্টেশন ভবন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ ও পুনর্নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, বিদ্যমান কার্যকরী ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা স্থানান্তরের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা, কমলাপুর স্টেশনে মাল্টিমডাল পরিবহন হাব তৈরির জন্য স্টেশন বিল্ডিং ইয়ার্ড পুর্ননির্মাণসহ প্রকল্পের জন্য ব্যয় করা হবে। এছাড়াও, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রামের গুডস পোর্ট ইয়ার্ড এবং বে টার্মিনাল পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপন এবং মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নত রেল সংযোগ স্থাপন।

 

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির একটি সভা করে যেখানে পরিকল্পনা কমিশন কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করে। বিশ্বব্যাংক প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের মূল ঋণ থেকে প্রকল্প প্রস্তুতিমূলক অগ্রিম (পিপিএ) হিসাবে ৬০ লক্ষ ডলার প্রদানে রাজি হয়েছে।

 

প্রকল্পের অংশ হিসেবে, কমলাপুর এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ‘মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ নির্মাণের সুবিধার্থে বিদ্যমান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধাগুলো স্থানান্তরসহ স্টেশন বিল্ডিং ইয়ার্ডগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে। ফৌজদারহাট থেকে চট্টগ্রামের গুডস পোর্ট ইয়ার্ড এবং বে টার্মিনাল পর্যন্ত রেল সংযোগ উন্নয়নের জন্য একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হবে।

 

ডিবিসি/কেএলডি

আরও পড়ুন