রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ১৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। প্রিয়জনদের খোঁজে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য স্বজন।
সোমবার (২১শে জুলাই) বিকেলে সন্তানের খোঁজে উত্তরার হাসপাতালে আসা এক মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'আমার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। একটু বলেন, আমার মেয়ে কোথায় আছে?' জরুরি বিভাগে সন্তানের কোনো তথ্য না পেয়ে ভেঙে পড়েন ওই মা। পরে মেডিকেলের কয়েকজন শিক্ষার্থী আফিয়ার ছবি দেখে জানান, তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন্তানের খোঁজে আসা আরেক মা বলেন, স্কুলটিতে তার দুই সন্তান পড়ে। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ছোট সন্তানকে বাসায় নিয়ে গেছেন। তবে এর পরপরই জানতে পারেন দুর্ঘটনার খবর। তবে এখনো পর্যন্ত বড় সন্তানের কোনো খোঁজ মেলেনি। আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘এখনও জানিনা আমার ছেলে কী অবস্থায় আছে’
বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই মাইলস্টোন স্কুলের অসংখ্য শিক্ষার্থীর অভিভাবক ছুটে এসেছেন নিকটস্থ হাসপাতালগুলোয়। কেউ সন্তানকে খুঁজে পেয়েছেন, কেউ এখনও আশার আলো খুঁজছেন। তাদের উপস্থিতিতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আজ (২১শে জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বহু শিক্ষার্থী দগ্ধ হন। দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ডিবিসি/এমএআর