লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাইয়ের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১০ই জুলাই) হোয়াইট হাউসে আফ্রিকার পাঁচজন নেতার সাথে এক বৈঠকে ট্রাম্প আচমকা বোয়াকাইকে জিজ্ঞাসা করেন, “কী সুন্দর ইংরেজি আপনার! এত সুন্দর করে কথা বলা কোথায় শিখলেন?” জবাবে বোয়াকাই তাঁকে জানান যে তিনি লাইবেরিয়াতেই পড়াশোনা করেছেন।
তবে, এই প্রশংসাই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কারণ লাইবেরিয়ায় ইংরেজিই হলো সরকারি ভাষা এবং বোয়াকাই সে দেশেই পড়াশোনা করেছেন। ট্রাম্পের সেই প্রশ্নের জবাবে বোয়াকাই তাঁকে জানান যে তিনি লাইবেরিয়াতেই পড়াশোনা করেছেন। তখন ট্রাম্প বলেন, "বিষয়টি খুবই মজার। কারণ এই টেবিলে এমন অনেকেই আছেন যারা এত ভালো বলতে পারেন না।" তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য লাইবেরিয়ানদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
আর্চি ট্যামেল হ্যারিস নামে এক লাইবেরিয়ান সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, “এই মন্তব্যে আমি চরম অপমানিত বোধ করেছি, কারণ আমাদের দেশ একটি ইংরেজিভাষী দেশ। তার এই প্রশ্নকে আমি প্রশংসা হিসেবে দেখছি না। আমার মনে হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং পশ্চিমা বিশ্বের মানুষেরা এখনও আফ্রিকানদের অশিক্ষিত ও গ্রাম্য বলে মনে করেন।”
অবশ্য লাইবেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারা বেসলো নিয়ান্তি সিএনএনকে জানিয়েছেন, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে এতে আপত্তিকর কিছু ছিল না। তিনি বলেন, “অনেকেই আফ্রিকা মহাদেশের ভাষা বা জনসংখ্যা সম্পর্কে ভালো বোঝেন না। তাই ট্রাম্পের বক্তব্যকে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন।”
হোয়াইট হাউসও ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পক্ষেই সাফাই দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি বলেন যে ট্রাম্পের মন্তব্যটি ছিল একটি “আন্তরিক প্রশংসা”। ট্রাম্প প্রশাসনের আফ্রিকার সিনিয়র উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস বলেন, “আফ্রিকা মহাদেশ হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো বন্ধু আগে কখনো পায়নি।”
অতীতেও ট্রাম্প আফ্রিকার দেশগুলো নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের “শিটহোল কান্ট্রি” থেকে আগত বলে উল্লেখ করেছিলেন।
ডিবিসি/এমএআর