ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবার এক নজিরবিহীন প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি ইহুদি রাব্বি (ধর্মগুরু)। গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ভয়াবহ অভিযোগ তুলে তারা বলেছেন, এই নীতি ইহুদি ধর্মের মৌলিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এবং এটি পুরো ইহুদি জাতিকে এক গভীর নৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী এই ধর্মগুরুরা একটি খোলা চিঠিতে এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার প্রকাশিত এই চিঠিতে সোমবারের মধ্যেই স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়, যা এই প্রতিবাদের ব্যাপকতা তুলে ধরেছে। চিঠিতে ধর্মগুরুরা তীব্র ভাষায় বলেন, ‘গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে কঠোর বাধা সৃষ্টি করা এবং একটি বিপদগ্রস্ত বেসামরিক জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য, পানি ও ওষুধের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, এসব পদক্ষেপ আমাদের নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনির বক্তব্য ভয়াবহতাকে আরও স্পষ্ট করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে সৃষ্ট এই মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে প্রায় ৯০ হাজার নারী ও শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।ধর্মগুরুরা ইসরায়েলি সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন, যেন তারা নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রেখেও দ্রুত ও ব্যাপক পরিমাণে মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশের সুযোগ দেয়। একইসাথে, সকল বন্দিকে ফিরিয়ে আনা এবং যত দ্রুত সম্ভব এই সংঘাত শেষ করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বিশ্বজুড়ে ইহুদি সম্প্রদায়ের ভেতর থেকে এমন জোরালো ও সম্মিলিত প্রতিবাদ ইসরায়েলের উপর নতুন করে নৈতিক চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
ডিবিসি/এফএইচআর