জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটছে ডেঙ্গুর বিস্তার। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, উষ্ণায়ন, লবণাক্ততার বিস্তার, বৃষ্টিপাতের হেরফের, তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে সর্ম্পক আছে ডেঙ্গুর। অপরিকল্পিত নগরায়ন আর দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে অন্তত ৪০ বছর। তাই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
ডেঙ্গু রোগী বেড়েই চলেছে উপকূলের জেলাগুলোতে। জুন মাস থেকে খারাপের দিকে বরগুনার পরিস্থিতি। জুলাইয়ের ১৮ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ায় প্রায় চার হাজার। আর চলতি মাসের ১৭ দিনে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন দেশের ডেঙ্গুর বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখছে। জলাবদ্ধতা, বন্যা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি ডেঙ্গু ছাড়াও ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগের বিস্তারের জন্য আরও অনুকূল হয়ে উঠছে। সাথে রয়েছে অপরিকল্পিত নগরায়নের প্রভাব।
আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। এমনটা ধরে নিয়েই শহরের পাশাপাশি গ্রামে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যান্য দেশ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনা নেয়ারও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ডিবিসি/ এইচএপি