১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পানি বন্টন চুক্তি হয়।
ঐতিহাসিক ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ স্থগিত করার ব্যাপারে ভারতকে সতর্ক করে পাকিস্তান বলেছে, সিন্ধু নদীর পানি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে তাকে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করবে পাকিস্তান। ভারতের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ পদক্ষেপের জবাব দেয়ার অধিকার ইসলামাবাদ রাখে বলেও মন্তব্য করেছে দেশটি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি বলেছেন, সিন্ধু নদের পানির কোনো অংশ পাকিস্তানকে দেয়া হবে না। তার এ বক্তব্যের জবাবে পাক পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ড. মুহাম্মাদ ফয়সাল গতকাল (বৃহস্পতিবার) এই বিবৃতি দেন।
সপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে যে চুক্তি হয়েছিল তার অধীনে পাকিস্তান বিনাবাধায় পশ্চিম অঞ্চলের তিনটি নদীর পানির অধিকার রাখে। এসব নদীর পানি ভিন্নখাতে নেয়ার যেকোনো ধরনের ভারতীয় প্রচেষ্টাকে পাকিস্তান আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করবে এবং এই হীন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যথাযথ জবাব দেয়ার অধিকার ইসলামাবাদ রাখে।
ড. মুহাম্মাদ ফয়সাল বলেন, “ভারতের নেতৃত্বের কাছ থেকে এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে এই কথা পরিষ্কার হয় যে, ভারত একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন আগ্রাসী রাষ্ট্র যাদের মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি কোনো সম্মান নেই। তিনি আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদির এই ধরনের বক্তব্যের মাঝদিয়ে সারাবিশ্বের চোখ খুলে যাওয়া উচিত যে, উগ্রবাদী মোদি সরকার হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া এবং সারা বিশ্বের শান্তির জন্য একটি বিরাট বড় হুমকি।”
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পাদিত পানি বন্টন চুক্তির আওতায় ভারতে উৎপন্ন সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর পানিতে বিনা বাধায় প্রবেশাধিকার পায় পাকিস্তান। অন্যদিকে, পূর্বাঞ্চলীয় রাবি, বিয়াস ও সুলতেজ নদীর পানিতে একই ধরনের প্রবেশাধিকার পায় ভারত।