আন্তর্জাতিক

‘সেখানে খাবার বা পানি ছিল না, ছিল শুধু মৃত্যু’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

৬ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ইসরায়েলি সেনাদের পাহারায় থাকা ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা কী দুঃস্বপ্নের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, গাজার এক ব্যক্তি তার ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছেন। তার ভাষ্যে, ত্রাণের জন্য গেলে জীবনের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না, সামনে থাকে কেবল মৃত্যু।

আট সন্তানের বাবা আতার রিয়াদ, যার মূল বাড়ি বেইত হানুনে ছিল, তিনি আল জাজিরাকে জানান যে তার ক্ষুধার্ত পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করতে তিনি বহুবার বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে গিয়েছেন। এর জন্য তাকে গাজা শহরের আশ্রয়শিবির থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মাইল) হেঁটে মধ্য গাজার নেতজারিম করিডোরে যেতে হয়েছে।

 

রিয়াদের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ভোরবেলায় প্রায় ২০,০০০ মানুষের বিশাল জনতা সেখানে জড়ো হয় এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দ্রুতই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। তিনি বলেন, “তারা আমাদের বলেছিল ট্রাকগুলোতে ত্রাণ আছে। আমরা ট্রাকগুলোর দিকে ছুটে গেলাম। কিন্তু ট্রাকগুলো খুব দ্রুত চলছিল, মানুষকে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছিল।”

 

রিয়াদ যোগ করেন, “এসব আমি শুধু সিনেমাতেই দেখতাম। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম শুধু মৃত্যুকে সামনে খুঁজে পেতে। সেখানে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই ছিল না।”

 

যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৯০ কেজি থেকে ওজন কমে ৫৮ কেজিতে নেমে আসা রিয়াদ জানান, ত্রাণ কেন্দ্রগুলোতে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে তার সেরা বন্ধু এবং প্রতিবেশীরাও ছিলেন। “তারা সবাই তাদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মারা গেছে,” বলেন তিনি।

 

রিয়াদের কথায় ফুটে ওঠে চরম হতাশা আর আতঙ্ক। তিনি বলেন, “ইসরায়েলিরা আমাদের বেঁচে থাকার কোনো সুযোগই দিচ্ছে না। আমি প্রতি মুহূর্তে কল্পনা করি, যখনই আমি ত্রাণ আনতে বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে যাই, আমি মারা যেতে যাচ্ছি।”

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন